শীত আসার আগেই পরিযায়ী পাখির দল হাজির : ভীড় বাড়ছে পর্যটকদের

9th September 2021 9:42 am বাঁকুড়া
শীত আসার আগেই পরিযায়ী পাখির দল হাজির : ভীড় বাড়ছে পর্যটকদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রাধানগরের ভিনদেশি পাখি নজর কাড়ছে পর্যটকদের! হাজারো সাইবেরিয়ান ক্রেন দেখতে ভিড় জমছে এলাকায়!

গ্রীষ্ম শেষে বর্ষা মেঘে কালোর উপর সাদা আঁকিবুঁকি, ভিনদেশের রাস্তা চিনে ফেলে, কারণ ওরা পরিযায়ী পাখি।

হ্যাঁ, পরিযায়ী পাখি এমন এক প্রাণী, যারা প্রতিবছর এক সময়ে, এক জায়গায় হাজারো কিলোমিটার উড়ে উড়ে আসে, শুধুমাত্র এক বিশেষ কারণে। কারণটা হল, বংশবিস্তার। ডারউইনের মতবাদ অনুযায়ী, অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামের এক জলজ্যান্ত উদাহরণ এই পরিযায়ী পাখি।

আর প্রকৃতির এই মহান সৃষ্টির মুখ বছরের কয়েকমাসের জন্য দেখে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর সংলগ্ন রাধানগরও। কারণ, এপ্রিল থেকেই রাধানগর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে বেশ কিছু শিমুল ও তেঁতুল গাছে এসে বসে ১০-১৫ হাজার সাইবেরিয়ান ক্রেন বা স্থানীয় নাম শামুকখোল বক। আর বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় কাটিয়ে তারা আবার ফিরে যায় তাদের বরফের দেশে। আর এই মাঝের কয়েকটা মাস এই পাখিগুলি এখানের মনোরম পরিবেশে সঙ্গম ক্রিয়া সম্পন্ন করে ডিম পাড়ে এবং সেই ডিমে তা দিয়ে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়, আর সেই বাচ্চাকে উড়তে শিখিয়ে নভেম্বর নাগাদ শীতের শুরুতেই বিদায় নেয় তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনুমানিক সাত দশক ধরেই পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা রয়েছে রাধানগরের কয়েকটি প্রাচীন শিমুল ও তেঁতুল গাছে। বছরের এই মাঝের সময়ে সকাল সন্ধ্যা মাঠে ঘাটে খাবারের সন্ধানে চলে পাখিদের আনাগোনা। আর এই পরিযায়ী পাখি দেখার জন্য প্রায়ই ভিড় জমে রাধানগরের এই পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়।

এদিকে এই পরিযায়ী পাখির দৃশ্য দিনের পর দিন জুড়ে যাচ্ছে মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে, কারণ বিষ্ণুপুরে আসা পর্যটকের অনেকেই দেখে যান ভিনদেশি এই পাখিদের অপরূপ দৃশ্য। আর এই এলাকাকে নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারেও ভাববে প্রশাসন, এমনটাই মত বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।